বুস্টার ডোজ দিবসে নতুন ধরনের ফাইজার টিকা | সংবাদ চিত্র

বুস্টার ডোজ দিবসে নতুন ধরনের ফাইজার টিকা | সংবাদ চিত্র

আগামী ১৯ জুলাই দেশে করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দিবস পালন করবে সরকার। সেদিন সারা দেশে ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এই দিবসে ফাইজার টিকার নতুন ধরন পাবে মানুষ। সংরক্ষণ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই টিকা একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকেও দেওয়া যাবে।

পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে ডাইলুয়েন্ট মেশানো ফাইজারের পুরনো ধরনের টিকাও দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এত দিন পর্যন্ত দেশে এক ধরনের ফাইজার টিকা দেওয়া হতো। এ ধরনের টিকা ডাইলুয়েন্টের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এই টিকা সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৭০-৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এবং ডাইলুয়েন্ট রাখতে হয় ১৫-২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। ফলে সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে এত দিন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ফাইজার টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন দেশে ফাইজারের নতুন ধরন এসেছে। এই নতুন ধরনের টিকার সঙ্গে ডাইলুয়েন্ট মেশানোই থাকে এবং তা ২-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা সম্পন্ন সাধারণ ভ্যাকসিন ক্যারিয়ারেও রাখা যায়। বাংলাদেশে সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ফাইজার টিকা দেওয়া সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন ফাইজার টিকার নতুন ধরন এসেছে।

এ ব্যাপারে কভিড-১০ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এখন ফাইজারের নতুন প্রিপারেশন এসেছে। ফাইজার টিকার দুটি ইস্যু আছে। একটা হলো ভ্যাকসিনটা রাখতে হয় মাইনাস ৭০-৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। কাউকে দেওয়ার আগে সেটা সাধারণ ২-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এনেই দিতে হয়। এভাবেই অন্যান্য ভ্যাকসিনও দিই। আগে যে ফাইজার দিতাম, সেটার সঙ্গে ডাইলুয়েন্ট মেশাতে হতো। সেই ডাইলুয়েন্ট রাখতে হয় ১৫-২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। সেটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বশেষ যে তথ্য আমাদের দিয়েছে, সেটা হলো ডাইলুয়েন্টগুলো সাধারণ এসি রুম কিংবা এসি রুম না থাকলে সে ক্ষেত্রে আমাদের ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার আছে ২-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার, সেখানে নিয়েও আমরা দিতে পারব। এটা একটা সুবিধার দিক।
এই বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ফাইজার নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, যেটার সঙ্গে ডাইলুয়েন্ট মেশানোই থাকে। এটা ২-৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা যায়। এর জন্য আর আলাদা এসি রুমের প্রয়োজন হয় না। আমরা এখন ফাইজারে প্রি-মিক্স বা ‘রেডি টু ইউজ’ ধরনটাই নিচ্ছি। এখন যে ভ্যাকসিনগুলো আছে, রেডি টু ইউজ, সেগুলো আমরা একেবারে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারব। আমাদের কাছে এখন দুই ধরনের ফাইজারই আছে রেডি টু ইউজ ও আগেরগুলো যেগুলো ডাইলুয়েন্ট মেশাতে হয়। এখন কর্মসূচি এমনভাবে সাজাই, যখন কমিউনিটি পর্যায়ে যাই, তখন রেডি টু ইউজ ভ্যাকসিন নিয়ে যাই। আর কেন্দ্রগুলোতে ডাইলুয়েন্ট মেশাতে হয় এমন ভ্যাকসিন দেব। দুই ধরনের ভ্যাকসিনই দেওয়া হবে।