বাঁধাকপি চাষে শিপনের সাফল্য

বাঁধাকপি চাষে শিপনের সাফল্য
ছবি: উপকূল

বাঁধাকপির জাতের নাম হাইব্রিড আলাদ্দিন। আর এই আলাদ্দিন জাতের বাঁধাপকি চাষ করে সত্যিই যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে গেছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডেঙ্গারবন গ্রামের কৃষক শিপন মিয়া। ৩০ বছরের কৃষি জীবনে তিনি এবারই প্রথম বাঁধাকপির চাষ করেছেন। আর প্রথম বারই পেয়েছেন সফলতা।

যা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। মাত্র ৫০ দিনে তিনি ফসল বিক্রি শুরু করেছেন।

এতো কম দিনেও একেকটি কপির ওজন হয়েছে ২ থেকে সাড়ে ৩ কেজি করে। দেখেতে খুব আকর্ষণীয় হয়েছে।

ভেতরে শ্বাস পুরু। আর বাজারে দাম পাচ্ছেন ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা করে। তার এই বাঁধাকপির আলাউদ্দিনের চেরাগ পেতে এখন অন্য কৃষকরা দিন গুনছেন। তারাও চাষ করেতে চান আলাদ্দিন বাাঁধাকপি। 

কৃষক শিপন মিয়া জানান, তিনি এবার প্রথম পরিক্ষামূলক ভাবে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। তাকে বিনামূল্য বীজ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে একটি বীজ কোম্পানী। এক প্যাকেট বীজ তিনি সাত শতক জমিতে রোপন করেন। জমিতে প্রায়  সাতশত কপি এসেছে। ফলন খুব ভাল হয়েছে।

জমিতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। ফলন খুব ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি  প্রায় ২২ হাজার টাকা কপি বিক্রি করেছেন। আরো পনের দিন বিক্রি করার কপি মাঠে আছে।  

জানা যায়, হাইব্রিড বাঁধাকপি আলাদিন একটি অধীক ফলনশীল জাত। এ জাতটি আমাদের দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সহিষ্ণু। এটি মধ্য থেকে ভরা মৌসুমে চাষ যোগ্য। এই কপি চ্যাপ্টাকৃতি হয়। পাতা খুবই ঘনভাবে সজ্জিত থাকে। দেখতে আকর্ষণীয় এবং খেতে খুবই স্বাদ। ৬০ থেকে ৬৫ দিনে ফসল বাজারজাত করা যায়। একর প্রতি ফলন হয় ২০ থেকে ২২ টন। যার জন্য এই জাতটি কৃষকদের জন্য লাভজনক। এ জাতের কপি চাষ করে কৃষকরা কম সময়ে কম খরচে বেশী লাভবান হতে পারবেন।

কৃষক শিপন মিয়া বলেন, আমার হাইব্রিড বাঁধাকপি আলাদিন চাষের সফলতায় দেখে এলাকার অন্য কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। অকেনেই এই জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমি আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে এই বাঁধাকপি চাষের জন্য জমি তৈরি করছি