ঢাকায় মানবাধিকার নেত্রীর ঘরে ঝুলন্ত পুত্রবধুর লাশ !

ঢাকায় মানবাধিকার নেত্রীর  ঘরে ঝুলন্ত  পুত্রবধুর লাশ !

ভোলার চরফ্যাশনের নিপা বেগম (১৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। তবে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে গৃহবধূর বাবা হেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে প্রধান অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে ঢাকা মেট্রপলিটন থানায় এজাহার দায়ের করেন। গৃহবধূর শাশুড়ি  মাহমুদা বেগম মিলি  মানবাধিকার সংঘঠন দি হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ চরফ্যাসন শাখার কো-চেয়ারম্যান।

এই ঘটনায়  অভিযুক্ত স্বামী রায়হানুল হক  মুগ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।

 ৬ এপ্রিল শনিবার রাত ১০ টায় ঢাকার আদাবর থানা এলাকার মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটির এ/পি ২৩৩ নম্বর বাড়ির ৬ষ্ট তলায় এঘটনা ঘটে। 

নিহত গৃহবধূ নিপা ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। 
আসামিরা হলেন - প্রধান রায়হানুল হক মুগ্ধ,  শাশুড়ি মাহমুদা খানম মিলি,  শশুর জহিরুল ইসলাম নান্টুসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়। গৃহবধুদের নীপাসহ  এরা সবাই ঢাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। 

 থানায় মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গৃহবধূ নিপা ঢাকার উদ্যান সরকারি কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। চরফ্যাশনে  ১০ম শ্রেনীতে পড়ালেখা অবস্থায়  রায়হানের সাথে নীপার  প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুজনের সম্মতিতে  ৯ মাস আগে তাদের দুজনের  বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই রায়হান ও পরিবারের লোকজন  নিপাকে শারিরীক নির্যাতন করতো। আসামিদের নির্যাতন করে সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা পেছিয়ে  হত্যা করে  ঝুলিয়ে রাখে।
গৃহবধূর বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, আসামিরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে আমি মেয়েকে হত্যার  বিচার চাই।

ঢাকা মেট্রপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে পোস্ট মর্টেম  রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত  কারণ জানা যাবে।