শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ! চরফ্যাশনে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষকরা হতাশ | সংবাদ চিত্র

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ! চরফ্যাশনে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে  শিক্ষকরা হতাশ  | সংবাদ চিত্র
ভোলার চরফ্যাশনে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজে গত শনিবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করন নিয়ে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপুমনি। ছবি সংবাদ চিত্র
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ! চরফ্যাশনে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে  শিক্ষকরা হতাশ  | সংবাদ চিত্র

ভোলা সফরকালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি শিক্ষকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

শনিবার ভোলা জেলার  চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচায় অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে  আয়োজিত সুধী সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ বিষয়টি  সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এর সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংগতির বিষয় জড়িত আছে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি। এ নিয়ে আরও গবেষণারও প্রয়োজন।’

তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টিভি চ্যানেল ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় প্রচারের পর শিক্ষক মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।তার এই বক্তব্য শিক্ষক  সমাজ হতাশ।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, ‘টানা ১৫ বছর সরকারে থাকার পরও শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে সরকারের গবেষণার প্রয়োজন হবে! এতদিন তা হলে কি করা হয়েছে? ডিজিটাল অগ্রতিতে এখন সব তথ্য সরকারের কাছে রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কি অবস্থা সবটাই সরকার  ভাল করে জানেন।’


জেলা শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি তহবিলে জমা হলে শিক্ষক জাতীয়করণ করলেও সরকারের আর্থিক খুব একটা সমস্যা হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সময় ক্ষেপণ না করে এ বিষয়ে নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিতে হবে।’

ভোলা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) সভাপতি মীর আমির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আমাদেরকে আশ্বাস দেবেন এমনটা আশা করেছিলাম। ৫ বছর আগে উপজেলা পর্যায়ে একটি মাধ্যমিক ও একটি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। ওই ধরাবাহিকতা অব্যাহত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন তাতে আমরা হতাশ।’

কলেজ শিক্ষক পিযূষ কান্তি হালদার বলেন, ‘গবেষণার ফলেই আজ শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তাই জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন।’ কলেজ শিক্ষক বিল্লাল হোসেন জুয়েল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর কথায় আমরা হতাশ। তিনি শিক্ষকদের সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতাসহ পেনশন ভাতা দ্রুত চালুর দাবি জানান। শিক্ষক মেহেদি বলেন, বর্তমানে শিক্ষকরা যে বেতন পান তা দিয়ে ১৫ দিনের বেশি চলা যায় না। জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য কমাতে হবে