চরফ্যাশনে চৈতি হত্যাকান্ডে ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখান করে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

চরফ্যাশনে চৈতি হত্যাকান্ডে  ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখান করে বাদীর  সংবাদ সম্মেলন

এম আবু সিদ্দিক।।ভোলার চরফ্যাশনে আলোচিত চৈতি হত্যাকান্ডের ময়না তদন্তের রিপোর্ট তার পরিবারবর্গ  প্রত্যাখান করে চরফ্যাশন প্রেসক্লাব মিলনায়তনে  সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

২১মে/২২ শনিবার দুপুরে চৈতির বাবা বারিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায় লিখিতভাবে গণমাধ্যমকর্মিদের কাছে লিখিত বক্তব্যে বলেন,গত ৫ মার্চ বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষে পড়ুয়া তার মেয়েকে কলেজপাড়াস্হ হরিবাড়ি সংলগ্ন শশুর বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই স্বামী,শশুর- শাশুড়ি  যৌতুকের জন্য  মারধর করতো।ঘটনার দিন হয়তো চৈতিকে খাবারের সাথে চেতনা নাশক কিছু খাইয়ে অজ্ঞান অবস্হায় হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সাথে লাশ ঝুলিয়ে এই ঘটনাকে আত্নহত্যা বলে প্রচার করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,চৈতির হত্যা কান্ডে থানায় সুবিচার চেয়ে থানায় মামলা করতে গেলে     ওসি (তদন্ত)রিপন কুমার সাহা এটিকে  আত্নহত্যা বলে প্রকাশ্য মন্তব্য করেন।আমি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, আমি যেভাবে মামলার অভিযোগ  লিখে দিবো সেভাবে  মামলা হবে।পরে ওসি তদন্ত রিপন সাহা আমার অজ্ঞতা,বিপর্যস্ত মানসিকতার সুযোগে চৈতির স্বামী,শশুর- শাশুড়ির প্ররোচণায় চৈতি আত্নহত্যা করেছে বলে এই মর্মে  নিজেই একটি মামলা লিখে স্বাক্ষর নেন।আমি মামলার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন।মামলার তিন আসামির মধ্যে ২জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মামলার পর থেকেই আসামীপক্ষের সাথে থানা পুলিশের সখ্যতা ও প্রভাব বিস্তারের কারনে দেড় মাস পরে গত ২৩এপ্রিল/২২ তারিখের স্বাক্ষরিত ময়না তদন্ত  রিপোর্টে নানা রকম অসঙ্গতি ও পক্ষপাতমুলক হওয়ায় আমি তা প্রত্যাখান করছি।ময়না তদন্তের রিপোর্ট টি  সঠিক নয়।কারন লাশের সুরতহাল করার সময়ে আমাদের স্বাক্ষ্য না নিয়ে  আসামির আপন ভ্রাতা শিশির মজুমদার ও ব্যবসায়ী অভিমান্য দাস,পুরহিত শংকর গাঙ্গুলীকে  স্বাক্ষী হিসেবে নেয়া হয়েছে। আমি  লাশের পূনঃ ময়না তদন্ত ও মামলার সঠিক তদন্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে পিবিআই/সিআইডিতে হস্তান্তের দাবি জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে ভোলা নারি নির্যাতন ট্রাইবুনালে গত ২০ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেছি।মামলা নং১৫৯/২২খ্রীঃ।এসময় চৈতির মা,বড় বোন উপস্হিত ছিলেন।