গ্যাসের মুল্য বৃদ্ধি,১১ শতাংশ হারে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম-সংবাদ চিত্র

গ্যাসের মুল্য বৃদ্ধি,১১ শতাংশ হারে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম-সংবাদ চিত্র

প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দুই চুলা ১০৮০ টাকা ও এক চুলা ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রোববার (৫ জুন) বিকেল ৩টায় বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু ফারুক এ দাম ঘোষণা করেন।

আবু ফারুক বলেন, প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে  বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।

তিনি জানান, সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ল গ্যাসের দাম।এরপরে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম।১১শতাংশ হারে বিদ্যুতের দাম ইতিমধ্যে নির্ধারন করেছে বিইআরসি।১জুন থেকে কার্যকর হবে।খাদ্যসহ নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধির ফলে আরেক দফা গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ হবেনা।তবে ৬০ভাগ বাড়ানোর কথা থাকলেও সরকার মানবিক বিবেচনায় ১১শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।


 
এর আগে ২০১৯ সালে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন পাইকারি দাম ঘনমিটারপ্রতি ১২ দশমিক ৬০ টাকা করা হয়। ভর্তুকি দিয়ে ৯ দশমিক ৭০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। নতুন ঘোষণায় গড় মূল্য ১৬ দশমিক ৩০ টাকা করা হয়েছে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পেট্রোবাংলা বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ জন্য ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দেয় গণশুনানিতে।