চরফ্যাশনে স্বামী-স্ত্রীর একই সাথে জানাযা | সংবাদ চিত্র

স্বামীর লাশ এম্বুলেন্স যোগে বাড়ীতে আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীও লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

কয়েক মাস আগে লিভার সিরোসিস ও কিডনী সমস্যার কারনে হাসপাতালে মারা যায় তারা বেগমের হারুন। এরপর লাশবাহী এম্বুলেন্স নিয়ে স্ত্রী সন্তানরা  বরিশাল সড়ক পথে ভোলা বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে মকসেদপুরে যাত্রীবাহী গাড়ীর সাথে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে স্ত্রী তারা বেগম (৩৬) মারা যায়।সাথে সাথে এন্বুলেন্স চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আজ মঙ্গলবার চরফ্যাশন পৌরসভা দক্ষিণ ফ্যাশন এলাকায় রমজান আলী কাজী বাড়ির সামনে দক্ষিন ফ্যাশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে একসাথে স্বামী ও স্ত্রীর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

একসাথে মৃত্যুর এমন দৃস্টান্ত সমাজে  বিরল।জানাযা শেষে সবাই দোয়া করছেন স্বামী-স্ত্রীর  এমন ভালবাসা বেহেস্তে অটুট থাকবে।জন্ম নিলে মৃত্যু হবেই এটা চিন্তন সত্য।তবে এমন ভালবাসার মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নেয়া যায়না।তারা বেগম ও তার স্বামী চরফ্যাসন উপজেলা ছাত্রদল নেতা ছোটন কাজির  বাবা- মা।

ঢাকা থেকে স্বামীর মরদেহ নিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে

নিহত দুইজনের  বাড়ি চরফ্যাশন পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামে। সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিভার সিরোসিস ও কিডনি সমস্যা জনিত কারনে হারুন (৫৪) মৃত্যু বরণ করেছেন। পরে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বামীর লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশাল সড়ক পথে চরফ্যাশনের নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মাদারীপুর জেলার মকসেদপুর এলাকায় গাড়ির সঙ্গে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী তারা বেগম নিহত হয়।

নিহত হারুনের চাচাতো ভাই মো. বরাত কাজী জানান, গত কয়েক মাস ধরে মো. হারুন লিভার সিরোসিস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরে সকালের দিকে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাঁর মরদেহ নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা করেন পরিবারের সদস্যরা। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মাদারীপুরের মোকসেদপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে তার বেগম নিহত হয়।