চরফ্যাশনে মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ মানুষের দুর্ভোগ

চরফ্যাশনে মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তুপ মানুষের দুর্ভোগ
চরফ্যাশন নতুন বাসটার্মিনালের সামনে পৌরসভার ময়রার স্তুপ

চরফ্যাশন-ভোলা মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা ময়লার   উৎকট গন্ধে  নাক চেপে যেতে হচ্ছে।নাগরিক সমাজের  এটা এতটি গণদাবি পৌর প্রশাসক এব্যাপারে  কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।  

পৌরসভায় ২০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। শহরের ময়লা-আবর্জনা ফলানোর জন্য পৌরসভার কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং নেই। এর ফলে প্রতিদিন সকাল বিকাল পিকআপে  আবর্জনা সড়কের পাশে স্তুপ করে।  সকালবেলা আবর্জনার স্তুপ আগুনে পোড়ানোর সময় ধোঁয়ার গন্ধে মানুষের  যেন দায়।

পৌরসভার ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং না করায় দুর্গন্ধে নাজেহাল নাগরিক সমাজ। ময়লা-আবর্জনার উৎকট দুর্গন্ধে  সহ্য করতে পারছেনা অনেকে। সড়কের পশ্চিম পাশে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশবান্ধব বাসটার্মিনাল। ময়লার এমন উৎকট গন্ধ আর পরিত্যক্ত বর্জ্য অপসারণে কোনো ভূমিকা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।

গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে দৃষ্টিনন্দন বাসস্টার্ড। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ময়লার স্তুপে  শিয়াল কুকুর কাক পক্ষি ময়লা আচরে রাস্তার মাঝখানে টেনে দুর্গন্ধের সৃস্টি করছে। দৃষ্টিনন্দন বাসস্টান্ডে আসা যাত্রীরা গন্ধে নাক চেপে রাখছেন। শিক্ষার্থীরা  সড়ক অতিক্রম করতে নাকমুখ চেপে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে।দীর্ঘদিন ধরে জমানো ময়লা-আবর্জনা রাস্তার পাশে উচু স্তুপে পরিনত হয়েছে। 

চরফ্যাশন পৌরসভার ময়লা ফালানোর কোন নির্ধারিত জায়গা নেই।সাবেক মেয়র মো. মোরশেদ ময়লার ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য জমি অধিগ্রহনের কথা বললেও আলোর মুখ দেখেনি।

চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক বলেন,  ময়লার দুর্গন্ধ থেকে অনেক জটিল রোগ হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন, মহাসড়কের পাশে ময়লা ফালানোর কারণে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।পৌরসভার ময়লা আবর্জনা সড়কের পাশে ফালানোর কোনো সুযোগ নেই।নতুন পৌর প্রশাসককে নিয়ে শিগগির কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।