শশীভূষণ যুবলীগ নেতা আটক : জেল হাজতে
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লোকমান হোসেন মাতাব্বরকে আটক করে বিক্ষুব্দ জনতা গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করে।লোকমান মাতাব্বর শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ (চেয়ারম্যান বাজার) ইউনিয়নের নান্নু মাতাব্বরের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে মহিপুর থানা পুলিশ লোকমান মাতাব্বরকে চরফ্যাশন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২০১৫ সনের ২৫ সেটেম্বর রাতে চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আবদুর রাজ্জাককে চেয়ারম্যান বাজারে একটিকে দোকানের পিছনে হাতপা বেঁধে নৃশংসভাবে পেটানোর পরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে আটক লোকমান মাতুব্বরের রিরুদ্ধে।
নিহত রাজ্জাকের বাবা মো. হোসেন মিয়া বাদী হয়ে লোকমান ও স্থানীয় তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। বিচারশেষে ২০২১ সালে মামলার আসামীরা বেকসুর খালাস পায়।
জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে লোকমান বেপরোয়া হয়ে উঠে।এরপর শশীভূষণ থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হওয়ার পরে শুরু হয় তার লোকজনের জমিদখল, চাঁদাবাজি, প্রহসনের বিচার শালিশ ব্যবসা।
কৃষকদের আবাদের সময় পানি আসা যাওয়ার জন্য বেড়ির স্লুইজ গেটের চাবিকাঠি পাউবি থেকে জোর পুর্বক নিয়ে যায়। এলাকার মানুষকে জিম্মি করে চলে তার অপতৎপরতা।তার ভয়ে গ্রাম ছেড়েছে শশীভূষণ থানা এলাকার কয়েকটি পরিবার।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে গত ৫ আগস্ট রাতে লোকমান মাতাব্বর নৌ-পথে পটুয়াখালীর মহিপুরে আত্মগোপন করে।
থানা সুত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজী ও মারধর , ছিনতাই ডাকাতিসহ ৪ টি মামলা রয়েছে।এসব মামলায় তাকে চালান দেয়া হয়ে
মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোকমান মাতাব্বর'কে মহিপুর মৎস্য আড়ৎ থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি জানান, গতকাল রাতে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার জন্য ভোলা পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলার তার বিরুদ্ধে একটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ভোলা সোপর্দ করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।