কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বাজেটের আগে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি
বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে সব ধরনের সিগারেটে ২/১ টাকা বেড়েছে। ফলে ধূমপায়ীদের এখন থেকেই সিগারেট কিনতে বেশি খরচ করতে হবে। প্রতি শলাকা বেনসন সিগারেট এক টাকা বেড়ে ১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গোল্ডলিফ বিক্রি হচ্ছে এক টাকা বেড়ে ১২ টাকায়।
আগে মার্লবোরো সিগারেট প্রতি পিস ১৫ টাকায় বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬-১৭ টাকায়। এছাড়া রয়েল, ডার্বি, হলিউড ও লাকি স্ট্রাইকের প্রতি শলাকা বিক্রি হচ্ছে এক টাকা বেড়ে ছয় টাকায়।
খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে সিগারেট মিলছে না। ডেলিভারি দেওয়া বন্ধ করেছে ডেরিভারি ম্যানরা। জনৈক সিগারেট বিক্রেতা বলেন, সিগারেটের কৃত্তিম সংকট চলছে। হঠাৎ করেই কমিয়ে দেয়া হয়েছে সরবরাহ। সীমিতভাবে ডিলাররা দোকানে সিগারেট বিক্রি করছে তাও আবার বাড়তি দামে।
এদিকে বাজেটের আগে সিগারেটের দাম বাড়াতে ক্ষুব্ধ ধূমপায়ী ও ব্যবসায়ীরা। সিগারেটের এক ভোক্তা বলেন, বাজেটের পর সিগারেটের দাম বাড়তেই পারে,এটা সরকারের ব্যাপার। এজন্য ইচ্ছা করেই সংকট তৈরি করা হবে!! সয়াবিনের মতো সিগারেটেও সিন্ডিকেটের শিকার।
তবে সিগারেট সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর দাবি, তারা নিয়মিত সিগারেট সরবরাহ করছেন। বাজেটের পর বাড়তি দাম পাওয়া যাবে এই আশায় সিগারেট লুকিয়ে রাখছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারাই বাজারে তৈরি করছেন কৃত্রিম সংকট।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা তৈরি হয়েছে। নতুন এই বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।