চরফ্যাশনে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি দুইশ কোটি টাকা!

চরফ্যাশনে  ঘুর্ণিঝড়ে  ক্ষয়ক্ষতি দুইশ কোটি টাকা!

প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সবচেয়ে বেশি লন্ডভন্ড উপকূলীয় উপজেলা চরফ্যাশন।

ঘুর্ণীঝড় রেমালের আঘাতে  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চরফ্যাশন কলাপাড়া খেপুপাড়া কয়রা পরিদর্শন করবেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা), আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

কাল ২৯ মে বুধবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে সকাল ১০টায় কয়রা ও  দুপুর ১২ টায় চরফ্যাশন পরিদর্শনে যাবেন তারা। চরফ্যাশন সরকারি টিবি স্কুল মাঠে প্রতিমন্ত্রী অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সমগ্রী বিতরণ করবেন।এরপর  হেলিকপ্টার যোগে চরমানিকা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মহিবুল রহমান ও এমপি জ্যাকব।

চরফ্যাশন উপকূলে ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে গবাদি পশু, ফসলী জমি, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, কাঁচা পাকা ঘর, হেরিংবন রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ের তান্ডবে অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে সরকারি ভাবে আজ রাতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দুই শত কোটি টাকার অধিক বলে একটি তালিকা তৈরি করেছে।

ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া সকল ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব ছিল নজির বিহীন। রেমাল উপকূলে দীর্ঘসময় ধরে তান্ডব লীলা চালালে কোন  প্রাণ হানি ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতির পরিমাণ ছিল অতীতের তুলনায় রেকর্ড।

ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচর, চর নিজাম,চর ফারুকি, মুজিব নগর, চর কুকরি মুকরি, শিকদারের চর, চর হাসিনা, চরপাতিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।  এই তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক।

জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক উচ্চতার কারনে তলিয়ে গেছে মৎস্য খামারিদের প্রায় কোটি কোটি টাকার মাছ। রিমালের আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে দেখা যায় দেখা গেছে ঝড়ের আঘাতে রাস্তার পাশে গাছপালা পড়ে থাকায় স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন, ঘুর্ণীঝড় রেমালের আঘাতে চরফ্যাশনে প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।বিভিন্ন দপ্তরের তালিকা অনুযায়ী ২শ ৪৩কোটি ৩ লক্ষ ৮২হাজার ৫শ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২  নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে চরফ্যাশনে ৫ হাজার মিটার ও মনপুরায় ১৬৫ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুরু হবে। এছাড়ও দৃষ্টিনন্দন প্রশান্তি পার্ক এলাকায় ব্লক দেবে যাওয়ায়  জরুরি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের মেরামত কাজ যথাসময়ে শুরু করা হবে।