চরফ্যাশনে ভয়াল ১২ নভেম্বর উপকূল ট্রাজেডি দিবস পালিত | সংবাদ চিত্র

চরফ্যাশনে ভয়াল ১২ নভেম্বর উপকূল  ট্রাজেডি দিবস পালিত | সংবাদ চিত্র

জলবায়ু-বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক ৭০ এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যাক্তিদের স্মরণ এবং উপকূল দিবস উপলক্ষে ভোলার চরফ্যাশনে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

১২ নভেম্বর শুক্রবার চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। 

রফ্যাশন প্রেসক্লাব সভাপতি ও কুকরি-মুকরী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের  মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বর্ননা দিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সিনিয়র সহ সভাপতি এম আবু সিদ্দিক, সহ সভাপতি এম আমির হোসেন প্রমুখ। 

এসময় বক্তারা বলেন, অর্ধশত বছর আগের এই দিনের বেদনা বিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজো ভুলতে পারেনি। ১৯৭০ সালের ভয়াল ১২ নভেম্বর

সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রান বির্সজন দিয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক মানুষের মানুষ ।
ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। উপকূলজুড়ে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস।

সভায় ভয়াল ১২ নভেম্বরকে  রাস্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানানো হয়।

আলোচনা শেষে  জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কামাল মিয়াজী।

Files