তিনদিনেও ভোলার ১১ ট্রলারের ৮০ জেলের খোঁজ মেলেনি | সংবাদ চিত্র

তিনদিনেও ভোলার ১১ ট্রলারের ৮০ জেলের খোঁজ মেলেনি | সংবাদ চিত্র

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ ভোলার চরফ্যাশনের ৯ টি ও লালমোহনের ২টি ট্রলারের সন্ধান এখনো মেলেনি। ওইসব ট্রলারে অন্তত ৮০ জন জেলে এখনও নিখোজ বলে জানিয়েছে মৎস্যবিভাগ। তিন দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সেই আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবারগুলো।

চরফ্যাশনের উপকূলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত :১৩ ফিশিং ট্রলার নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ৯ ট্রলারসহ এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত: ৬০জেলে।

ঝড়ে নিখোঁজ  বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে জেলেরা। এ পযন্ত  অন্তত: ৬০ জেলেদেরকে চরমন্তাজ, চর পিয়াল পটুয়াখালীর মহিপুর ও সুন্দরবন এলাকা থেকে কোস্টগার্ড পুলিশ ও স্থানীয় জেলেরা সাগরের কুল থেকে উদ্ধার করেছে। তারা ইতোমধ্যে যার যার বাড়িতে ফিরছেন। ঝড়ের কবলে পড়ে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের পরিবার পরিজন ও ট্রলার মালিকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

চরফ্যাশনের নয় ট্রলারের নিখোঁজ রয়েছে অন্তত: ৬০ জেলে। এদের মধ্যে  জাহানপুর এলাকার খোকন মাঝি, শফিউল্লাহ মাঝি, ও মান্নান মাঝির ৪৭ জেলে ও সামরাজের ফারুক মাঝির ২৩ জেলেদের এখনও খোঁজ মিলেনি। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তারা নিখোঁজ হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মৎস্যঘাট গুলোতে নিঁখোজ জেলের খোজে স্বজনরা আহাজারি করছে।

চরফ্যাশন উপজেলা  কর্মকর্তা  সহকারি কমিশনার (ভূমি)চলতি দায়িত্বে আবদুল মতিন খান জানান, ঝড়ের আগেই আমরা সতর্কীকরনে ডিভাইসের মাধ্যমে জেলেদের সিগনাল দিয়ে অবহিত করেছি। সাগর থেকে ফিরতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগে। এরই মধ্য ঝড়ের গতি প্রবল হওয়ায় তারা তীরে ফিরতে পারেনি। 

কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাসুম বলেন, সাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে কোস্টগার্ডের টিম সাগরে উদ্ধার অভিযানে তৎপর রয়েছে।

এদিকে লালমোহনে ৪ ট্রলারের ৫৬ জেলে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।তবে এখনও দুই নৌকার নিখোঁজ রয়েছে১০/১২ জন জেলে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা গণমাধ্যমকে বলেন, সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে যেসব ট্রলার ও জেলে নিখোঁজ হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজ  জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের ৫ টিম সাগরে অভিযান পরিচালনা করছে।

এদিকে সকাল থেকেই আবহাওয়া রৌদ্রকরোজ্জ্বাল। নদী শান্ত রয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে উপকূলে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, ডুবে যাওয়া বেশিরভাগ ট্রলারের জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।

চর কুকরি- মুকরি ইউনিয়নের চোয়ারম্যান  আবুল হাসেম মহাজন বলেন, এখনও একটি ট্রলারের সন্ধান মেলেনি, সেই ট্রলারে ১৪/১৫ জন জেলে ছিল।
ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো রবিবার সকাল থেকে অভিযানে রয়েছে কোস্টগার্ড। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো জেলে উদ্ধার হয়নি। নিখোঁজ জেলেরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।