পরচুলা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব | সংবাদ চিত্র

পরচুলা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব | সংবাদ চিত্র

ভোলার গ্রামীণ নারীদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে পরচুলা কুটির শিল্প।বিভিন্ন দেশ বিদেশে পরচুলার (চুলের ক্যাপ) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পরচুলার ক্যাপের বাজার। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই শিল্পের ব্যাপক প্রচার ঘটিয়ে পরচুলা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।চুলপ্রতি নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে মানুষের ফেলে দেওয়া বা কেটে ফেলা চুল ব্যবসায়ী ও হকাররা সংগ্রহ করেন। আমদানি করা চুলকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মসৃণ করে, একটি নেট বা ক্যাপে সুচের মাধ্যমে বিশেষভাবে চুল বসিয়ে মূলত এই কাজটি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় এই কাজটি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন ভোলার কর্মহীন গ্রামীণ নারীরা। এই শিল্পের দেশে চাহিদা পূরণের পরে বিশ্ববাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে জাতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে পরচুলা শিল্পের সঙ্গে জড়িত গ্রামীণ নারীরা।সৃষ্টির লক্ষ্যে তৃণমূল এলাকার কর্মহীন শতাধিক নারীকে নিয়ে পরচুলা শিল্পকারখানার উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ইলাহি চৌধুরী। আসলামপুর ইউনিয়নের বেতুয়া এলাকায় বেড়িবাঁধের পাশে একটি সেমি পাকা ঘরে ৫০ জন কর্মহীন অসহায় গ্রামীণ নারীকে নিয়ে চালু করা হয়েছে এই শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিকভাবে তাদের তিন-চার দিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহজেই কাজটি করা সম্ভব। চরফ্যাশনে পরচুলাশিল্প গড়ার নেপথ্যে অন্যতম উদ্যোক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-নোমান রাহুল।তিনি বলেন, ইউটিউব চ্যানেলে পরচুলা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদনে দেখতে পান- একজন প্রবাসী ক্রেতা মেড ইন বাংলাদেশ লেখা পরচুলা ক্যাপ ক্রয় করেন। পরে এ বিষয়ে খোঁজ খবর  নেওয়া শুরু করেন। বাগমারা টাইমস নামে একটি অনলাইনে স্বচিত্র প্রতিবেদন ও পরচুলার ভিডিও'র সেই সূত্র ধরে পদক্ষেপ নেয়া।সাংবাদিক মোনায়েম বিল্লাহ'র মাধ্যমে পরচুলা তৈরি ও বাজারজাতকরণ নিয়ে বাগমারা উপজেলার উদ্যোক্তা আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এ কাজে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য উদ্যোক্তাদের আহ্বান করা হয় চরফ্যাশন উপজেলায়।তারা আসার পরে শুরু হয় এই শিল্পের প্রাথমিক  কাজ।