চরফ্যাশনে হাঁস মুরগীর বাজারে অস্বাস্হ্যকর খোলা খাবারের দোকান | সংবাদ চিত্র

চরফ্যাশনে হাঁস মুরগীর বাজারে অস্বাস্হ্যকর খোলা খাবারের দোকান | সংবাদ চিত্র
চরফ্যাশনে হাঁস মুরগীর বাজারে অস্বাস্হ্যকর খোলা খাবারের দোকান | সংবাদ চিত্র

ভোলার চরফ্যাশন কাঁচা বাজার সড়ক এখন নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাবেচার জমজমাট। হাঁস মুরগীর বাজারে অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে খোলা খাবারের দোকান,দধির দোকানে সকাল  বিকাল রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় মানুষের ভীড়  লেগে থাকে। মুরগী কেনা বেচা মুরগী জবাই,ড্রেসিং সবই করা হয়।মুরগী জবাই, রক্ত, নাড়িভুড়ি, চামড়া পঁচার আর মুরগীর  বিস্টার গন্ধ লেগেই থাকে।অনেক ক্রেতা প্রয়োজনে বাজার করতে গিয়ে  নাক চেপে যেতে হয় মুরগীর বাজার।প্রতিনিয়ত শতশত যানবাহনের ধুলাবালি,মুরগির  জীবানু উড়েছে বাতাসে। 
হাঁস-মুরগীর দোকানের পাশাপাশি খাবারের দোকান গুলোতে  পরোটা,ভাজি,সাদারুটি মিস্টি, গজা,আঙ্গুলী,
সন্দেশ চা সিংগারা, গুলগুলা বিক্রি হচ্ছে অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে।

মুরগীর উড়ন্ত পালক, ধুলাবালি, মশা মাছি খাবারের সঙ্গে মিশে যেন একাকার। এরই মাঝে হোটেলে বসে খাবার খাচ্ছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত  এক শ্রেনীর ক্রেতা। প্রতিনিয়ত বাতাসে উড়ন্ত পালক বিষাক্ত ধুলা বালির জীবানুতে বাড়ছে রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি। ড্রেনের পাশে দেখা যায় খাবার দোকানের সামনেই ড্রেসিং করা হাঁস মুরগীর রক্ত, নাড়িভুড়ি, চামড়া পালক, মশা মাছি আর কুকুরের আড্ডা।আবার খাবার ও হাঁস মুরগীর দোকানের পাশে  দধির একমাত্র বাজার। অনেকে  দধি ব্যবসায়ী জীবানু থেকে রক্ষায়  কৌশলে ফ্রিজিং দধির ব্যবসা করছে। 
সরজমিনে দেখা গেছে,দধি  ব্যবসায়ীর দোকানের পিছনে  সারিসারি  টালিতে দধি বসিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা  খোলা রাখা হয়।হাঁস মুরগির উড়ন্ত পালক আর ধুলাবালি বসছে খোলা দধির উপর।আর এসব দধি থেকে  নানা রকম রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়ছে।

চরফ্যাশনে দধির ব্যবসায় শুভঙ্করের ফাঁকি। টালি দেখলে  মনে হবে অনেক দধি, কিন্তু বাস্তবে তা নয়, টালিতেই ফাকি! টালির নীচের অংশে দুই তিন ইঞ্চি  ভরাট।তার উপরে  টালিতে সামান্য দধি এক বা দেড় ইঞ্চি দধি। আর এসব দধি কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা।ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অধিক লাভ ও  ফাঁকির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে মৌসুমী দধি ব্যবসায়ী।ফলে অসাধু এসব দধি ব্যবসায়ীদের কারনে চরফ্যাশনে দধির ঐতিহ্য হারাচ্ছে।অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে এসব দধি ব্যবসায়ীরা।


সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা গেছে মুরগীর দোকান সমূহের পাশে রয়েছে অনেকগুলো খাবারের দোকান। এসব দোকানে ডেকে রাখার নেই কোন ব্যবস্থা । খাবারে মুরগীর উড়ন্ত পালক সহ ধুলাবালি পড়ছে অহরহ।পাশেই রয়েছে  কসাইখানা, যেখানে প্রতিনিয়ত কুকুরের পদচারনা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবার খেয়ে লিভার জনিত নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী "সংবাদ চিত্র"কে বলেন, হোটেল রেস্তরার পাশে  মুরগি ও মুরগীর ড্রেসিং এর ময়লা নারি ভুড়ির গন্ধে  আশপাশে ব্যবসা করা যায়না।

চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনির উদ্দিন চাষী বলেন, মুরগীবাজারে দধি ও খাবারের দোকান পাশাপাশি থাকার  জনস্বার্থ হুমকির সম্মূখীন।এসব হোটেল ও দধিঘর  অন্যত্র সরাতে সমিতির সদস্যদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।

চরফ্যাশন পৌরসভার কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু বলেন, মুরগির  বাজার থেকে হোটেল রোস্তরা দধি ও খাবারের দোকান আলাদা স্থানে নেয়ার জন্য পৌরসভার মেয়র মোঃ মোরশেদ সাহেব বাজার ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে ইতিপূর্বে  ফলপ্রসু আলোচনা করে মুরগির বাজার থেকে দধি ও খাবার দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিতে পৌর মেয়র  নির্দেশণা দিয়েছেন।তার  এই নির্দেশ অমান্য করে বহাল তবিয়তে  রয়েছে দধি ও খাবারের দোকান।