চরফ্যাশন: দুই সন্তানের বাবার হিজড়া সেজে অভিনব প্রতারণা! | সংবাদ চিত্র

চরফ্যাশন: দুই সন্তানের বাবার হিজড়া সেজে অভিনব প্রতারণা! | সংবাদ চিত্র
চরফ্যাশন: দুই সন্তানের বাবার হিজড়া সেজে অভিনব প্রতারণা! | সংবাদ চিত্র

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় হিজড়া সেজে বিভিন্ন হাট-বাজার, দোকানে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম সালাহ উদ্দিন। তিনি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে এবং নিজেও দুই সন্তানের বাবা।

তিনি দীর্ঘদিন থেকেই এই কাজ করছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত সালাহ আগে টেইলার্সের ব্যবসা করতেন।পরে ব্যবসা ছেড়ে সানি হিজড়া নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন হাট-বাজার ও দোকানে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে আসছেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় গিয়ে তরুণদের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নাচানাচি করেন। এতে প্রকৃত হিজড়াদের সাথেও তার ঝগড়া-বিবাদ লাগে। কয়েক মাস আগেও তিনি ওই বাজারে টেইলার্স ব্যবসা করতেন। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানদের শ্বশুরবাড়িতে রেখে চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে হিজড়াদের সঙ্গে থাকেন তিনি।

বাজারের স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করেন, আঞ্জুরহাট বাজারে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তার দোকানের পাশেই সালাহ উদ্দিন খলিফা (টেইলার্স কর্মী) কাজ করতেন। এক বছর আগে সালাহ উদ্দিন টেইলার্সের কাজ বন্ধ করে ঢাকায় চলে যান। পরে ঢাকা থেকে এসে নারীদের পোশাক পরে আঞ্জুরহাট বাজারে আসেন এবং স্থানীয় সঞ্জিব ওরফে রাজুর সেলুনে মেয়ে সেজেই কিছুদিন চুল কাটার কাজ করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং এলাকাবাসী সালাহ উদ্দিনকে নারীসুলভ আচরণ ও পুরুষ হয়ে নারী সাজতে নিষেধ করেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সালাহ উদ্দিনের এক প্রতিবেশী জানান, সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। তার চেহারা সুন্দর হওয়ায় তিনি হিজড়া সেজে এলাকায় অশ্লীল কর্মকাণ্ড করে যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া বাজারের চাল ব্যবসায়ী আবুল কালাম, স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমল বোস এবং ওষুধ ব্যবসায়ী এনায়েত উল্লাহসহ একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সপ্তাহের প্রত্যেক হাটে এসে হিজড়া নামধারী ভুয়া প্রতারকরা দোকান থেকে চাঁদা কালেকশন করে। যদি না দিই তাহলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তারা। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান জানান, কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে যদি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্রঃ বিডি২৪ লাইভ