চরপাতিলায় পাতিলে পানিবন্দি শিশুরা | সংবাদ চিত্র

চরপাতিলায় পাতিলে পানিবন্দি  শিশুরা  | সংবাদ চিত্র

সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের প্রভাবে  উপকূলীয় এলাকা চরফ্যাশনে চলছে  এখন ৮ নান্বার সিগনাল। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ  কুকরী মুকরি,  ঢালচর  ও পাতিলা গ্রামের ৬ হাজার  মানুষ পানিবন্দি।
কুকরি,ঢালচর, চরপাতিলা, এলাকায় ইতিমধ্যে ৪/৫ ফুট পানিতে প্লাবিত।

ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যা দুর্গতদের  সাহায্য সাহযোগিতায় জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।

জানা গেছে সন্ধ্যার পরে  উপকূলজুড়ে ঝড়ো বাতাসে চরফ্যাশনে ২ শতাধিক কাঁচা ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্থ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা  নিরুপণ করা যায়নি।

আজ  সোমবার মধ্যরাতে  সিত্রাংয়ের সিগনাল আরও বাড়লে এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। 

কন্টোলরুম সূত্রে জানা গেছে চরফ্যাশনে ১৫৮ সাইক্লোন শেল্টার  দূর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  এসব সাইক্লোন শেল্টারে  ইতিমধ্যে সহস্রাধিক দূর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।স্ব স্ব আশ্রয় কেন্দ্র শুকনো খাবার  পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক দূর্যোগপ্রবণ এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করছে কন্টোলরুম। 

চর কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন রাত ৮ টার দিকে "সংবাদ চিত্র"কে জানান, চর পাতিলার ২ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি। তাদেরকে এখনও আনা সন্ভব হয়নি।সারাদিন মাইকিং করেও তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রমুখী করা যায়নি।  দিনের আলোতে  তারা বুঝতে পারেনি রাতেরদিকে সিত্রাং  এমন ভয়াবহ রুপধারণ করবে।

ইতিমধ্যে ঢালচর ও   চর পাতিলার প্রায়  শতাধিক মানুষকে নৌযান দিয়ে কচ্ছপিয়া এলাকায় আনা হয়েছে। এছাড়া যারা চর পাতিলায় রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝূঁকিতে  মা ও শিশুরা। বেড়িবাধ না থাকায় ঘরের মধ্যে জোয়ারের পানি কোমর পরিমান। ঘরের অর্ধেকজুড়ে পানিতে  প্লাবিত। কোন উপায় নেই তাই তারা শিশুদের বাঁচাতে  পাতিলে ভাসিয়ে রাখছেন।