চরফ্যাশনে চৈতি হত্যা:ময়না তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে বাদির সংবাদ সম্মেলন

চরফ্যাশনে চৈতি হত্যা:ময়না তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে বাদির সংবাদ সম্মেলন

চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিবেদক।।ভোলা জেলার চরফ্যাশনে আলোচিত চৈতি হত্যাকান্ডের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যাখান করে চরফ্যাশন প্রেসক্লাব মিলনায়তনে  বাদীর সংবাদ সম্মেলন।

আজ ২১মে শনিবার দুপুর ১২টায় চৈতির বাবা চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায় প্রেসক্লাবে উপস্হিত গণমাধ্যমকর্মিদের কাছে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন,গত ৫ মার্চ বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষে পড়ুয়া আমার মেয়েকে কলেজপাড়াস্হ হরিবাড়ি সংলগ্ন শশুর বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই স্বামী,শশুর- শাশুড়ি যৌতুকের জন্য  মারধর করতো।ঘটনার দিন হয়তো চৈতিকে খাবারের সাথে চেতনা নাশক কোন ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান অবস্হায় তাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সাথে লাশ ঝুলিয়ে এই ঘটনাকে আত্নহত্যা বলে অপপ্রচার করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,চৈতির হত্যা কান্ডে থানায় সুবিচার চেয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি (তদন্ত)রিপন কুমার সাহা এটিকে  আত্নহত্যা বলে প্রকাশ্য মন্তব্য করেন।আমি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, আমি যেভাবে মামলার অভিযোগ  লিখে দিবো সেভাবে  মামলা হবে।পরে ওসি তদন্ত রিপন সাহা আমার অজ্ঞতা,বিপর্যস্ত মানসিকতার সুযোগে চৈতির স্বামী,শশুর- শাশুড়ির প্ররোচণায় চৈতি আত্নহত্যা করেছে বলে এই মর্মে  নিজেই মামলা লিখে  আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন।আমি মামলার বিবরণ পড়ে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন।

এদিকে  ওসি (তদন্ত) রিপন সাহা বলেন,আমার বিরুদ্ধে বাদীর আনীত সকল অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি জানান,বাদীর অভিযোগখানা আমি এজাহার হিসেবে নিয়েছি।তখন তিনি কিছু বলেননি।মামলা এজাহারের পরে তিন আসামির মধ্যে আমরা ২জনকে গ্রেফতার করেছি।৩নং আসামি পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আবেগ আপ্লুত হয়ে বাদি আরও জানান, মামলার পর থেকেই আসামীপক্ষের সাথে মামলার  তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও থানার ওসি(তদন্ত)র সাথে আসামী পক্ষের সখ্যতা  কারনে দেড় মাস পরে গত ২৩এপ্রিল/২২ তারিখে থানায় আসে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন। ময়না তদন্ত  রিপোর্টে নানা রকম অসঙ্গতি ও পক্ষপাতমুলক হওয়ায় আমি এই রিপোর্ট  প্রত্যাখান করছি।ময়না তদন্তের রিপোর্টটি সঠিক নয়।কারন লাশের সুরতহাল করার সময়ে আমাদের স্বাক্ষ্য না নিয়ে ১নং আসামির আপন ভ্রাতা শিশির মজুমদার, ব্যবসায়ী অভিমান্য দাস ও পুরহিত শংকর গাঙ্গুলীকে  স্বাক্ষী হিসেবে নেয়া হয়েছে।থানা পুলিশ ম্যানেজ হয়ে পোস্ট মর্ডেমের জন্য  ভিসেরা  পাঠায়নি।আমি  লাশের পূনঃ ময়না তদন্ত ও মামলার পুর্ণ অভিযোগ  পিবিআই/সিআইডিতে হস্তান্তের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।দায়েরকৃত থানা পুলিশের প্রভাবিত মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার শংকায় আছি।সে কারনে  ভোলা নারী ও শিশু  নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ২০ মার্চ  মামলা দায়ের করি।মামলা নং  সিআর ১৫৯/২২।উক্ত মামলায় এখনও শুনানী হয়নি।ধার্আয তারিখে আদালতে  মামলার শুনানী হলে লাশের পূনঃময়না তদন্ত দাবি করবো।