রমজানে তরমুজ সাধারণদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

s c

রমজানে তরমুজ সাধারণদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

এম আবু সিদ্দিক: সারাদেশে কয়েকদিন আকাশে কখনও মেঘ আবার কখনও বৃষ্টি দেখা গেলেও এখন দেশজুড়ে চৈত্রের তাপদাহ শুরু হয়েছে।এরইমধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এ কারণে লাল টুকটুকে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজের ইফতারীতে ক্বদর বেড়েছে।

স্থানীয়ভাবে আগামজাতের উৎপাদিত তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে রোজার আগ থেকেই।স্বাভাবিক জাতের তরমুজ রমজানের শেষের দিকে বাজারে আসবে।বরিশাল বিভাগের চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়ন এলাকায় আগামজাতের তরমুজ বাজারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।এই জাতের তরমুজ রমজানে বাজারে ভাল দরদাম পেয়ে কৃষকরা দারুন খুশি।দেশজুড়ে মুজিবনগর  এলাকার তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।

স্হানীয়ভাবে চরফ্যাশন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে একটি সিন্ডিকেটের কবলে এই বাজার।প্রথমে বাজারে কেজি দরে চড়াদামে বিক্রি হলেও বেরসিক কিছু  সংখ্যক মিডিয়াকর্মিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি তুলে দিলে টনক নড়ে।বন্ধ হয়ে যায় কেজি দরে তরমুজ ।এখন বিক্রি হচ্ছে পিচ প্রতি।

যদিও অন্য এলাকায় কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।রমজানে  বাজার দখল করে নিয়েছে  বরিশাল দক্ষিণাঞ্চলের  আগাম তরমুজ। দামও বেশ চড়া। বর্তমানে কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। চার কেজি ওজনের একটি তরমুজ দুইশ’ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার থেকে এসব তরমুজ যাচ্ছে বিত্তবানদের ঘরে। আর তরমুজের দিকে তাকিয়েই থাকতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। 

দক্ষিণাঞ্চলের  তরমুজ কিনে  বিভিন্ন স্থানে  ব্যবসায়ীরা তাদের আড়তে এনে বিক্রি করছে ফলের দোকানগুলোতে। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি এই ফল শহরে অনেক চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। মূল্য বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও স্বল্প আয়ের বেশি ভাগ মানুষের এই ফল কেনা  তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। 

শহরের সড়কের পাশে মৌসুমি ফল দোকানে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে আপেল, কমলা, পেয়ারা, বরইসহ বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি মৌসুমি ফল তরমুজও বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। 

বাজার জুড়ে  বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলালিংক জাতের এই তরমুজের চাহিদা বেশি।মোকামে বানিজ্যালয় মালিকরা জানান, তরমুজের আমদানি থাকলেও বেশী দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে।চরমনোহরের  তরমুজ বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, চরমনোহরের মাটির জাত ভাল হওয়ায় প্রতিবছর এই মৌসুমি ফলের আবাদ ও ব্যবসা করি।  চরমনোহর অঞ্চলে তরমুজের আবাদ ভাল হয় ।আমরা বরিশাল  ঢাকা হাজিপুরে তরমুজ এনে  পাইকারি বিক্রি করি। চর এলাকার তরমুজ স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। বড় আকারের তরমুজ প্রতিকেজি ৫০/৬০ টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ৪০/৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। খুচরা বাজারে কেজি ৭০/৮০টাকা দরে বিক্রি করছে।সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার  বাহিরে মৌসুমি এই ফল।