উম্মুত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষায় উম্মুত্ত নকল | সংবাদ চিত্র

উম্মুত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষায় উম্মুত্ত নকল | সংবাদ চিত্র


শিপু ফরাজী : উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে (বাউবি) এইচএসসি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরিক্ষা শুরু হয়েছে।যেখানে বাঁধাহীন ভাবে নকল করার অভিযোগ উঠেছে।

চরফ্যাশন উপজেলার ফাতেমা মতিন মহিলা ডিগ্রী কলেজ বাউবি স্টাডি সেন্টার ৫৪০ পরীক্ষা কেন্দ্রে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান এইচএসসি পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় শুক্রবার (৩০সেপ্টেম্বর) ইংরেজী সকালে ,বিকালে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় বাঁধাহীনভাবে শিক্ষার্থীদের বই ও উত্তরপত্র দেখে লিখতে দেখা গেছে। কেন্দ্রে পরিদর্শনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এইচএসসি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রিন্সিপালের কাছ থেকে পরীক্ষার আইডিকার্ড (প্রবেশপত্র) নেয়ার জন্য জনৈক শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে জন প্রতি দুই হাজার টাকা করে এবং বিষয় ভিত্তিক নকল শিটের জন্য (প্রশ্নের উত্তর শিট) ২শ করে ও উপর মহলের কর্তা ব্যক্তিদের  ম্যানেজসহ বাঁধাহীন ভাবে পরীক্ষা দেয়ার জন্য টাকা দিয়ে উন্মুক্ত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাঁদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী কান্নাভরা কন্ঠে বলেন,কলেজটির অফিস সহকারী  ও জনৈক শিক্ষক কে টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেযার জন্য বললে দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় তাকে সামনের বেঞ্চে একা বসিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও আরও একাধীক শিক্ষার্থী জানান, অফিস সহকারী জনপ্রতি ২ হাজার টাকা উৎকচের জন্য শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড (প্রবেশপত্র) আটকিয়ে রাখেন।

তারা আরও অবিযোগ করে আরও জানান, জনৈক শিক্ষক  আমাদের ২ হাজার করে টাকা দেয়ার নির্দেশ দেন। চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজের বাউবি’র এই কেন্দ্রকে ঘিরে পূর্বেও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্বে বাউবি স্টাডি সেন্টার ভাংচুর,কাগজপত্র তছরুফের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। এর আগেও বাউবি’র রেজিস্ট্রার কর্তৃক এইচএসসি এবং বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামের আইডি কার্ড বাবদ ৩৫০০ টাকা আদায়ের অবিযোগ তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দেন। বর্তমানে এই কেন্দ্র থেকে বাউবি এইচএসসি পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে মোট ১১২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ অভিযোগ বিষয়ে অফিস ক্লার্ক মো. হৃদয় বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের আইডি কার্ড (প্রবেশপত্র) প্রদান করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্বে আনিত অভিযোগ অসত্য।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,উন্মুক্তের পরীক্ষায় কোনো কর্মকর্তা যদি দায়িত্বে অবহেলা করে থাকেন এবং বাউবি স্টাডি সেন্টারের সংশ্লীষ্টরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।