নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে সাগরে যাচ্ছে | সংবাদ চিত্র

নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে সাগরে যাচ্ছে  | সংবাদ চিত্র
আজ থেকে সাগরে ইলিশ শিকারে ট্রলার নিয়ে সাগরে যাচ্ছে চরফ্যাশনের জেলেরা।
নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ মধ্যরাত থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে সাগরে যাচ্ছে  | সংবাদ চিত্র

দেশের মৎস সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে।আজ শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে সাগরে আবারও ইলিশ শিকারে যাচ্ছে জেলেরা।

২০ মে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই  ভোলা উপকূলের জেলেরা জাল-নৌকা ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি  শুরু করেছে।

এমনিতেই করোনাকালে তাঁদের রোজগারে টান পড়েছে। তার ওপর বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার চাপ তো রয়েছেই। এমন পরিস্থিতিতে মাছ ধরায় ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে সীমাহীন দুর্দশায় দিন কাটিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ জেলে। ধারদেনা ও ঋণে জর্জরিত হয়েছেন অনেকে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেরা খাদ্যসহায়তা হিসেবে চাল পেলেও তা অপ্রতুল।

সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে শুরু থেকেই তাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকি পাশের দেশ ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পক্ষেও মত দেন তাঁরা।

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৬৫ দিন দরকার আছে কি না, তা বৈজ্ঞানিকভাবে বিচার–বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। কারণ, প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ১৫ এপ্রিল থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত। দেশে এ সময়সীমা ১ মে থেকে ৩০ জুন করা হলে তা বেশি কার্যকর হতে পারে কি না, তা–ও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে।

জেলেরা জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে তাঁরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুই মাস তাঁরা আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে পার করেছেন। সব জেলেই ঋণগ্রস্তও হয়ে পড়েছেন।

মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, বরিশাল বিভাগে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১১৯। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩ জন জেলে সমুদ্রগামী। অন্যরা সাগর মোহনায় ও নদ-নদীতে মাছ শিকার করেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে জেলে নিবন্ধন তালিকা হালনাগাদ হয়েছে।