চরফ্যাশনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদের মাঠে চষে বেড়াচ্ছে পশু | সংবাদ চিত্র

চরফ্যাশনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদের মাঠে চষে বেড়াচ্ছে পশু | সংবাদ চিত্র

ভোলার চরফ্যাশনে এক শ্রেনীর মানুষ শহরে ছেড়ে দিয়েছে গরু মহিষ রামছাগল ভেড়া। এসব গবাধিপশু  প্রতিনিয়ত ফ্যাসন স্কয়ার হাটবাজার স্কুল কলেজ মাদরাসা ও মসজিদের মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে  মাঠে গোবর ত্যাগ করে এসব পশু। নিজের অজান্তে শরিরে লেগে মসজিদের মুসল্লী ও স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থিরা পরছে বিপাকে। 
প্রভাতি আড্ডায় শাররিক কসরত বা ফিটনেস বজায় রাখতে ব্যায়াম করতে এসে সমস্যায় পরতে হচ্ছে।অনেক ডায়াবেটিস রোগি সকালে ব্যায়াম করতে  এসে মাঠে গিয়ে দেখে  পশুর গোবরে সয়লাব। 

সকালে ঈদগাও মাঠে প্রভাতি টিমের সদস্য  ব্যায়াম করতে আসা যুবক মনির হোসেন জানান, একশ্রেনীর গরু মহিষের মালিক শহরে ছেড়ে দিয়ে পশু পালন করছে। রাতে মসজিদ মাদরাসা স্কুলের মাঠে  এসব গবাদি পশু বিচরন করে  মল ত্যাগ করে। ফজরের সময়ে   অন্ধকারে অনেক নামাজিরা  গোবরে পা পরে  বিপাকে পরছেন। গরু মহিষের মালিকরা  কাউকে মানছেনা। অভিযোগ করলে গালমন্দ শুনতে হয়।

আদালত চত্বরে বসবাস এক গরু মহিষ পালক  কাউকে তোয়াক্কা করেনা। নিজ গোয়ালে পশু পালনের কথা বললে উত্তেজিত হয়ে যেকাউকে গালমন্দ করে। গরু মহিষ যেখানে থাকবে সেখানে মল ত্যাগ করবেই, এব্যাপারে করার কিছু নেই।

প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা।  যত্রতত্র পশুর বিচরনের কারনে মুসল্লি, ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কস্টে সীমাহীন দুর্ভোগ ।


চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির  যুগ্ন সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মনির বলেন, সখের বসে এ শ্রেনীর অসাধু মালিকরা বাজারে ছেড়ে দিয়ে  গরু মহিষ ভেড়া রামছাগল পালন করে।
এসব পশু মুদি দোকানে,বাসা বাড়িতে ঢুকে চাল ছোলা,  ধান,ডাল, গম ভুট্টা ও গাছপালা খেয়ে  মানুষের পুজি নস্ট করছে।