চরফ্যাশনে দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় | সংবাদ চিত্র

চরফ্যাশনে দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় | সংবাদ চিত্র

এম আবু সিদ্দিক।।

ভোলার চরফ্যাশনে দেশি একটি পাঁতিহাসের কালো ডিম পাড়ার  রহস্য  জানতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা রকম প্রশ্ন। এটি অলোকিক কোন ঘটনা নাকি ভিন্ন কোন কারন, তা নিয়ে কৌতুহলের যেন শেষ নেই।
সাধারণত হাঁস সাদা ডিম পাড়ে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হলেও  কোন হাঁস যদি কালো ডিম পাড়ে তাহলে অবাক হওয়ার মত ঘটনা। আলোচিত বিষয়টি রূপকথার গল্পের মত মনে হলে ঘটনা সত্য। 
ভোলার চরফ্যাশনে এমনটি একটি পাতি হাঁস অনাবরত দুই দিনধরে কালো রংয়র ডিম পাড়ছে। 
এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ওই হাঁসের ডিম দেখতে বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
তবে কি কারনে এমনটি হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলতে পানছে না প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর। 
হাঁসের মালিক চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা প্রবাসি আবদুল মতিন জানান,  ৮ মাস আগে স্থানীয় ফেরিওয়ালার কাছ  থেকে তিনি ১৭ টি হাসের বাচ্চা ক্রয় করেন। এরপর ৬টি বাচ্চা মারা গেলে অবশিষ্ট ১১ টি হাস লালন পালন করেন তার  স্ত্রী তাসলিমা বেগম। অন্যদের হাঁসদের মতই সেই খারার গ্রহন ও চলাফেরা স্বাভাবিক। গত ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে তার হাঁসের খোয়ারে  গিয়ে দেখেন একটি কালো রংয়ের ডিম পেড়েছে । একইভাবে বৃহস্পতিবার আরেকটি ডিম পাড়ে । তবে শুক্রবার সেই হাঁসটি আর ডিম পাড়েনি।

শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের লোকজন দ্বিতীয় দিনে ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
এদিকে কালো ডিম পাড়ার ঘটনাটি পুরো ভোলা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানা জানি হলে স্থানীয়রা আঃ মান্নান রাঢী বাড়িতে  ভীড় জমান।
ডিম দেখতে আসা উৎসুক পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু বলেন, বিষয়টি আমার কাছে রূপকথার গল্পের মতই হচ্ছে। তবুও  স্বচোখে এক নজর দেখতে এলাম। অস্বাভাবিক কালো এই ডিম বাস্তবে দেখে খুবই ভাল লাগছে।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অধ্যক্ষ মাওলানা মঈন উদ্দিন বলেন,সবই আল্লাহর লীলা খেলা।প্রকৃতির কুদরতে এমন ঘটনা ঘটছে।আমাদের এলাকায় এই ঘটনা বিরল।কালো হাঁসের ডিম জীবনে প্রথম দেখলাম। কি কারনে এমন ঘটছে তা হয়তো ল্যাবে পরীক্ষা করলে এর  প্রকৃত রহস্য  বের হবে।
৯ মাস বয়সী এই হাঁসের কালো ডিম পাড়ার ঘটনা নিয়ে কৌতুহলের যেন শেষ নেই।মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা  ভাইরাল হয়ে যায়। ই- মিডিয়াতেও তোলপাড় হাঁসের কালো ডিমের ঘটনা । সংবাদ সংগ্রহে বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মিরা  ছুটে আসছে ঘটনাস্থল চরফ্যাশনে।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি,কালো ডিমের ঘটনাটি  এক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষন করা হবে। তারপর সেই হাঁস ও কালো ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার জন্য গভেষণাগারে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে, ঔই হাঁসের মা  সাইবেরিয়ান থেকে আসা হাঁসের ক্রস প্রজননের  শিকার।এই কারনে ডিম অন্যরকম এমন কালো কালার হতে পারে। ভোলা সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন,কালো জাতীয় কোন খাবার গ্রহনের কারনে ডিম কালো  হতে পারে। তবে   প্রানী বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না।