পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি হচ্ছে জনসভাস্থলের মঞ্চ-সংবাদ চিত্র

পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি হচ্ছে জনসভাস্থলের মঞ্চ-সংবাদ চিত্র

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেছেন, পদ্মা সেতুর আদলেই জনসভাস্থলের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানের সবকিছুই পদ্মা সেতুর আদলে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন উৎসব  উপলক্ষে শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই  ফেরিঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা স্থলে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক অস্থায়ী শৌচাগার ও সুপেয় পানির উৎস স্থাপনসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

‘আমাজনে কেউ সেতুর সাহস করেনি, বাংলাদেশ পদ্মায় করে দেখিয়েছে’‘আমাজনে কেউ সেতুর সাহস করেনি, বাংলাদেশ পদ্মায় করে দেখিয়েছে’
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। 


চিফ হুইপ বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শিবচরের মাটিতে হওয়ায় আমরা সৌভাগ্যবান এবং তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কর্মকর্তারা এখানে পরিদর্শনে আসছেন। আশা করি কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। আর নিরাপত্তাতো অবশ্যই আছে। বৃহত্তর বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ লঞ্চে আসবে। লঞ্চে যারা আসবে তাদের খুব বেশি হলে ১০০ গজ হাঁটতে হবে জনসভাস্থলে আসতে। উদ্বোধনের পরে এই মঞ্চেই আমরা ৭ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবো। আরও কিছু চমক থাকবে। আমরা মনে করি- যারা পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখবে না, তারা অনেক কিছু মিস করবে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেছেন। সব প্রতিকূলতাকে তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে আজকে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। আগামী ২৫ জুন তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন।  সারাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাস্তা ঘাটের সব সমস্যা সমাধান করা হবে। আর জনসভাস্থলে ৫০০ টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষ সুপীয় পানি যাতে পান করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এই জনসভার দেখভাল করছেন। তিনি নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে সব কার্যক্রম দেখভাল করছেন। আমরা যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে জনসভাকে সফল করতে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থারই পরিবর্তন হবে।