ভোলা জেলার চার এমপির নেতৃত্বে ২৫ হাজার নেতাকর্মি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছে..

ভোলা জেলার চার এমপির নেতৃত্বে ২৫ হাজার নেতাকর্মি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছে..

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লঞ্চযোগে  ভোলা জেলার  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন নৌপথে।

ভোলার সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে ভোলা-১ থেকে এম.ভি কর্নফূলি-১০ ভোলা -৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর নেতৃত্বে ঘোষেরহাট থেকে এম.ভি কর্নফূলী-৯ ও বেতুয়া থেকে এম.ভি কর্নফূলী-১২, এম.ভি কর্নফূলী-১৩ ও এম.ভি তাসরিফ-৪। ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরন্নবী চৌধুরী শাওন এর নেতৃত্বে মঙ্গল সিকদার ঘাট থেকে এম.ভি তাসরিফ-৩ ও লালমোহন লঞ্চঘাট থেকে এম.ভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-৭, এম.ভি শ্রীনগর-৮।

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মী পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ও রাতে জেলার বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে তাঁদের লঞ্চে  নেতা কর্মিরা উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শেষে তাঁরা ওই লঞ্চেই ভোলায় ফিরবেন। লঞ্চেই নেতা-কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের ওরফে মজনু এসব তথ্য জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস বলেন, সদর উপজেলা থেকে কর্ণফুলী-১০, ১১ ও বালিয়া নামের তিনটি লঞ্চে মোট পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। লঞ্চ তিনটি সদর উপজেলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে রাত আটটায় ছেড়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৬টি লঞ্চে মাদারীপুরের শিবচরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মী। আজ শুক্রবার বিকেলে ও রাতে জেলার বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে নেতারা লঞ্চে উঠেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শেষে তাঁরা ওই লঞ্চেই ভোলায় ফিরবেন। লঞ্চেই নেতা-কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দৌলতখান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবু বলেন, দৌলতখান উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট থেকে রাত ১০ টায় উপজেলার দুই হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে এমভি ফারহান-৪ লঞ্চ ছেড়ে গেছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বোরহানউদ্দিন লঞ্চঘাট থেকে এমভি সালাউদ্দিন তিন হাজার যাত্রী নিয়ে রাত আটটায় ছেড়েছে।লা

লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে ৬টি লঞ্চে ১০ হাজার নেতা-কর্মী যাবেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী ওরফে শাওনের নেতৃত্বে আজ রাত আটটায় রওনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার নেত্রী আমার অহংকার’ স্লোগান-সংবলিত লাল-সবুজের ক্যাপ ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতা-কর্মীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর লঞ্চঘাট থেকে পাঁচটি (কর্ণফুলী-৫, এমভি গ্লোরি অব শ্রীনগর-৭ ও ৮, এমভি অথৈ-১ ও এমভি শাহরুখ-১) লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া তজুমদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী লঞ্চঘাট থেকে এমভি তাসরিফ-৩ নামের লঞ্চটি রাত আটটায় ছাড়েছে। লঞ্চগুলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইলিয়াস চৌধুরী লঞ্চঘাটে গিয়ে অবস্থান নেবে। পাঁচটি লঞ্চে প্রায় ১২ হাজার মানুষের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম মহাজন বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে তাসরিফ-৪ ও কর্ণফুলী-১৩ এবং ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে কর্ণফুলী-৯ নামের তিনটি লঞ্চে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাদারীপুরে যাবেন।আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির নেতৃত্বে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা কর্মিরা ৪টি লঞ্চযোগে শুক্রবার বিকালে রওনা দিয়েছে।এখন এসব লঞ্চ  মেঘনা ও তেতুলিয়া নদিতে পদ্মাসেতুর অনুষ্ঠান যাত্রা পথে।

এমপি জ্যাকব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে  দক্ষিণানঞ্চলের দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা থেকে প্রায় ৪ হাজার আ.লীগের নেতা কর্মি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সবাই এখন লঞ্চযোগে নদীপথে রওয়ানা দিয়েছে।

আ.লীগ নেতা অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র বলেন,পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেতুয়া ও ঘোষেরহাট ও মনপুরা লঞ্চঘাট থেকে  চারটি লঞ্চ শুক্রবার বিকালে রওয়ানা দিয়েছে।জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি আজ ও কালকের জন্য লঞ্চে নেতা কর্মিদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।সূত্র প্রথম আলো