এবার ঈদে পর্যটকদের নতুন ঠিকানা | সংবাদ চিত্র

এবার ঈদে পর্যটকদের  নতুন  ঠিকানা  | সংবাদ চিত্র

শিপু ফরাজী, অতিথি প্রতিবেদক।।
ঈদের ছুটি শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদের ছুটিতে দেশের নানা প্রান্ত ঘুরে বেড়ান পর্যটকেরা। প্রতিবছরই ঈদের টানা ছুটিতে হাজারো পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে চরফ্যাশনের দর্শনীয় স্থান গুলোতে । তাই তো পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত চরফ্যাশনের (নতুন দর্শনীয় স্থান)পানি উন্নয়ন বোর্ডে বেড়ীবাধের উদ্যান। তারা চরফ্যাশনের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনিয়ন নজরুলনগর ও কলমী ও বকসিও বাবুরহাট এলাকার সারেক খালি গ্রামে  পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করে চলছে । স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির খামার বাড়ির পেছনের অংশের শারেকখালী এলাকায় তেঁতুলিয়া পাড়ে অবস্থিত এই উদ্যান। এখনোও এ পর্যটন কেন্দ্রটি  নাম  প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। 
চরফ্যাশনের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান এ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাধের উদ্যান। তেঁতুলিয়া বাঁধকে নানারুপে সাজিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দর্শনীয় স্থানে। যা এখন মন কাড়ে পর্যটকদের। ছুটির দিনসহ বিভিন্ন উৎসবে দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠবে এ উদ্যান। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। এবারেও তার ব্যতিত্রুম হবেনা। তেতুঁলিয়ার ঢেউ আর সবুজের মিতালী উপভোগ করতেই এখানে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। প্রতিদিন বিকাল হলেই এখানে মানুষের ঢল নামে। প্রকৃতির অপার সৌন্দয্যের লীলাভূমি এই বেড়ী বাঁধের উদ্যানে বসে সময় কাটায় বহু মানুষ। এখানে বসেই পড়ন্ত বিকেলের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। সূর্য যখন নদীর বুকে ছায়া ফেলে, তখন নদীর রং যেনো পাল্টিয়ে ভিন্ন রকম এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। এখানে বসেই দেখা যায় সূর্যাস্ত। বিশেষ করে সন্ধ্যার আকাশ লালিমায় ভরে যাওয়ার দৃশ্য অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। নদীর ঢেউ আর নির্মল বাতাসে বসেই জমিয়ে আড্ডা, সেলফি তোলা, গান গাওয়া আর পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসার নিরাপদ স্থান এখানে।
ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, আগে এ স্থানটির নাম শুনেছি, কিন্তু কখনও আসা হয়নি। আজ এসেই আমরা মুগ্ধ। বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে দূরের আকাশ, নদীর জোয়ার-ভাটা আর প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। সব মিলিয়ে একটি ভালো লাগার স্থান পানিউন্নয়ন বোর্ডেও বেড়ীবাধের উদ্যান।  
স্থানীয়রা জানায়, শুধু উৎসব আর বন্ধের দিন নয়, প্রতিদিন বিকাল হলেই দূর-দূরান্ত থেকে এ উদ্যানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। তবে বিশেষ দিনগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। পুরো উদ্যানজুড়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় স্থান হিসেবেই মন জয় করেছে এ উদ্যান। পর্যটন জেলা ভোলায় যে কয়টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম চরফ্যাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডেও বেড়ীবাধের   উদ্যান। এখানে পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়েই ঘুরতে আসেন মানুষ। ভিড় দেখা যায় তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়স আর শ্রেণি-পেশার মানুষের। 
পানি উন্নয়নবোর্ড-২ চরফ্যাশন এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো মিজানুর রহমান জানান, কলমির ন্যাংলাপাতা গ্রাম সংলগ্ন খালের অপর পাশেই বকশী লঞ্চঘাঠ এলাকা থেকে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর তীর প্রতিরক্ষায় ৩২০০ কিঃমিঃ ও বাঁধের ঢাল প্রতিরক্ষায় সিসি ব্লক দ্বারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ  কার্যক্রম সম্পন্ন । যা তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে  মানুষ সুবিধা ভোগ করছে।এখন চরফ্যাশনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সাথে সদ্য আবিস্কৃত নতুন সংযোজন তেঁতুলিয়া পানিউন্নয়ন বোর্ডেও বেড়ীবাধের উদ্যানের রং দেয়ার কাজ চললছে । কাজ সম্পন্ন হলে পর্যটনের নতুন দিগন্তই হবে এ চরফ্যাশন তেঁতুলিয়া পানিউন্নয়ন বোর্ডেও বেড়ীবাধের উদ্যান । যা ভ্রাম্যান পিপাষু মানুষের জন্য হবে একটি আকর্ষণীয় স্থান ।