মধ্যপ্রাচ্যের দুম্বা পালন করে নজর কাড়ছে মানুষের

মধ্যপ্রাচ্যের দুম্বা পালন করে নজর কাড়ছে মানুষের

মধ্যপ্রাচ্যের দুম্বা পালন করে সাড়া ফেলেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের কৃষক বারেক কাজী। নতুনত্ব ও ভিন্নধর্মী পশু পালনে নজর কাড়ছে এলাকার মানুষের। প্রতিদিন খামার পরিদর্শনে আসছেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মানুষ। কেউ আবার আগ্রহ প্রকাশ করছেন দুম্বা পালনের।


জানা গেছে, গত ৯ মাস আগে ইন্টারনেটে দুম্বা বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখেন কৃষক বারেক কাজীর সৌদি প্রবাসী ছেলে কবির হোসেন। এরপর তার বাবার শখ মেটানোর জন্য চার প্রবাসী ছেলে মিলে আটটি তুরস্ক জাতের দুম্বা সিলেট থেকে ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনে দেন। ৬ মাস যেতে না যেতেই বাচ্চা দেওয়া শুরু করে দুম্বাগুলো। ধীরে ধীরে নয় মাসে আটটি থেকে ১৪টি দুম্বা তার খামারে।


দুম্বাগুলোর খাবারের তালিকায় রয়েছে ভুসি ও কাঁচা ঘাস। পরিপূর্ণ বয়সে একটি দুম্বার ওজন ১২০ থেকে ১৩০ কেজি হয়ে থাকে। রোগবালাই নেই বললেই চলে। আকার ভেদে বিক্রি হয় ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।
দুটি দুম্বা ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি ৩ লাখ টাকা দাম করেছেন। দুম্বার পাশাপাশি ২৭টি দেশি জাতের ছাগলও পালন করছেন। যা থেকে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন।
কৃষক বারেক কাজী জানান, দুম্বা সচরাচর কেউ পালন করেন না। তাই তিনি টাকার পরিমাণ বেশি হলেও ভিন্নধর্মী পশু পালন করছেন।

প্রতিজ্ঞা করেছেন বাণিজ্যিকভাবে পালন করে তিনি প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করবেন। তিনি তার দুম্বা পালন এলাকার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান যা থেকে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার সরকার জানান, বিশ্বব্যাপী দুম্বার মাংস ও চামড়ার চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়াতেও দুম্বা পালন করা সম্ভব। প্রাণিসম্পদের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন আগ্রহী খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।