ভোলায় সাংবাদিক পরিবার ৩ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ! | সংবাদ চিত্র

ভোলায়  সাংবাদিক পরিবার ৩ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ! | সংবাদ চিত্র

বাংলাদেশ প্রতিদিন ও News24 টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি  জুন্নু রায়হানসহ তার পরিবার গত ৩ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।তার পরিবারবর্গ এক ধরনের গৃহবন্ধী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।এ ঘটনাটি  ভোলা শহরের গাজীপুর রোড এর জজ কোর্টের সামনের একটি বাসাবাড়িতে।

অভিযোগ রয়েছে, তার বাসার প্রায় ২৫ বছরের চলাচলের রাস্তায়  প্রতিপক্ষরা ইটের স্তুপ রেখে  চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় এ পরিস্থিতি হয়েছে। এ ব্যাপারে ভোলা থানা পুলিশ হাটাচলার ওই রাস্তা উন্মুক্ত করতে নিদের্শ দিলেও তা মানা হয়নি। এ ঘটনায় ভোলা জেলার পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়। 

ভোলার প্রথিতযশা সাংবাদিক ও কলেজ শিক্ষক জুন্নু রায়হান জানান, তার প্রতিবেশী মোকাম্মেল হক ঝন্টুর বড় ভাইর কাছ থেকে ১৯৮৭ সালে তারা ৭ শতাংশ জমি কিনে নির্বিঘ্নে বসবাস করছে। এমনকি বাসার সামনে দিয়ে চলাচলরে পথ যৌথ ভাবে প্রায় ২৫ বছর সকলেই ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু  ২০২০ সালে ঝন্টু গং তাদের পৈতৃক জমি ভাগ করার সময় বাড়ির এজমালি পথের জন্য কোন জমি না রেখেই তাদের ভাইবোনদের মধ্যে  জমি ভাগ বাটোয়ারা করে। এজমালি পথের জন্য জুন্নু রায়হান ওই সময় ভোলা পৌর সভার শালিস বোর্ডের সভাপতি ও কাউন্সিলরকে শাহে আলম পথ দেয়া সিদ্ধান্ত দেন । কিন্তু ঝন্টু গং এজমালি পথ রাখতে রাজি হয়নি। পরে জুন্নু রায়হানের বাড়ির মধ্য দিয়ে ৮ ফুটের একটি পথ নিতে চায়। এতে করে জুন্নু রায়হানের বাড়ির এক শতাংশ জমি চলে যাবে। ওই প্রস্তাবে জুন্নু রায়হান রাজি হয়নি।

ভোলা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন লিংকনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাতায়াতের জন্য ৪ ফুটের পথ রেখে অর্থাৎ  প্রায় আধা শতাংশ জমি ছেড়ে দিয়ে জুন্নু রায়হান তার বাড়ির বাউন্ডারি দেওয়াল তুলেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝন্টু গং সাংবাদিক পরিবারের যাতায়াতের পথে দেওয়াল তুলে এবং তাদের যাতায়াতের পথ প্রথম অবরুদ্ধ করে ।

আদালতে দেওয়ানি ২৯৮/২১ নং মামলা করেন । র্দীঘ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর গত  প্রায় ৩ মাস আগে  পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নিজে উপস্থিত থেকে ওই দেওয়াল ভাঙ্গার ব্যবস্থা করে সকলের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেন।

কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আবার ওই চলাচলের রাস্তায় ইট স্তুপ করে রেখে পথ আটকে দেয়। এদিকে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে সেখানে যাতে কাজ করতে না পারে সেজন্য  ভোলা এডিএম কোর্টে আবেদন করা হয়। আদালত পুলিশকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা দেয় এবং ইট সরিফে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন ও পুলিশ তাদের নোটিশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ সেখানে ইটের স্তুপ  না সরিয়ে  পথ বন্ধ করে রেখেছে । পুলিশ ইট সরিয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বললেও ঝুন্টু গং তা অমান্য করে।

এদিকে ঝুন্টু গং পক্ষ বলেছে, আমাদের জমি দিয়ে অন্য কাউকে হাটতে দিবো না। আমাদের পথ আমরা বন্ধ করেছি। আমরা জুন্নু রায়হানদেরকে ৮ ফুটের রাস্তার জমি ছাড়তে বেলেছি। সে ৪ ফুট ছাড়ছে। এতে রাস্তা হয় না। সে ৮ ফুট না ছাড়লে আমাদের জমি দিয়ে তাকে কোন পথ দেয়া হবে না। অপর দিকে ঝন্টুর ছোট বোন রুমা জানান, তার পৈত্রিক জমি ৫ শতাংশ পাওয়ার কথা থাকেলেও তাকে দেয়া হয়েছে প্রায় সোয়া ৪ শতাংশ। তার প্রাপ্ত জমি ভাই বোন কেউ বুঝ দেয় না। তার পুরো জমি তাকে বুঝিয়ে দিলে তার জমির সামনে দিয়ে তখন হাটা চলাচর জমি ছাড়বে। এ অবস্থায় সাংবাদিক জুন্নু রায়হানের পরিবার ঝুন্টু গ দের কাছ থেকে জমি কিনে এখন চরম বিপাকে পড়েছে।

এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ওসি শাহিন ফকির বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুসারে পুলিশ  ১৪৪/১৪৫ জারি করছে। শান্তিশৃংখলার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কোর্টের  নির্দেশনার বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।