চরফ্যাশনে ইমামকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ইউপি চেয়ারম্যান

চরফ্যাশনে  ইমামকে প্রকাশ্যে  পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ইউপি চেয়ারম্যান

ভোলার চরফ্যাশনে আবুবকরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদার ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অনেক আগ থেকেই এলাকার আলেম-ওলামা, সাধারণ মানুষকে মারধর করার অভিযোগ সিরাজ জমাদারের বিরুদ্ধে।

আহত ইমাম আজ বৃহস্পতিবার তাকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে দুলারহাট থানায়  মামলার এজাহার দিলে ওসি মামলা এফআইআর করেনি।

এ ব্যাপারে চরফ্যাশন ইমাম সমিতি শনিবার দুলারহাট বাজারে মানববন্ধন করবেন বলে জানা গেছে। 

আবু বকরপুর ইউনিয়নে  তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ লোকজন। যখন যাকে খুশি তাকে মারধর, হামলা, নির্যাতন করছে। এমনকি জোর-জবরদস্তিসহ নানা অপরাধ করে যাচ্ছেন। সিরাজ জমাদার নিজে আবু তাহের মেম্বার, রন্টু মেম্বার, জহির, নাঈম,এমরান ও রনিসহ আরও নাম না জানা অন্তত ২০ জনকে নিয়ে  গড়ে তুলেছেন সিরাজ বাহিনী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকাশ্যে নিরাপরাধ মানুষ পিটিয়ে এলাকায় মূর্তিমান আতংকে পরিনত হয়েছে সিরাজ। এলাকবাসির অভিযোগ সিরাজ জমাদার ওলামা আলেমদেরকে সহ্য করতে পারেন না। ওয়াজ মাহফিলের জন্য আর্থিক সহযোগিতার লিপলেট নিয়ে হাট বাজারে টাকা তুলতে গেলে ইমামকে প্রকাশ্যে বাজারে  পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সিরাজ জমাদার ও তার সাথে থাকা অপর সহযোগিরা। তার এসব অপকর্মের ঘটনা গণমাধ্যমে মুখ খোলায় তার বাহিনীর সদস্যরা অসহায়দের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

জানা যায় গত ১ মাসে তার বাহিনী কর্তৃক  মারধর ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকে। আবুবকরপুর ইউনিয়নের সোনা মসজিদের খতিব মাও. মাইনুল ইসলাম জিহাদী, মোটরবাইক ড্রাইভার সামছুদ্দিন, ব্যবসায়ী রাশেদ, মহিউদ্দিন, মো. কাদের, ইসমাইল কাজিসহ  অর্ধশত সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে আবুবকরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউদ্দিন হাওলাদার বলেন,ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান হওয়ায় সিরাজ জমাদার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলেই  নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।   তার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের বিচার আমরা করতে পারিনা।
আবু বকরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন মাষ্টার বলেন, ওনার জন্য আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অবগত করা হয়েছে।তারা  সিরাজ জমাদারের নির্যাতনের হাত থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা করতে না পারলে কারও সাহস নেই  তার বিরুদ্ধে কথা বলার।

দুলার হাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদারের বিরুদ্ধে মসজিদের খতিবকে মারধর ও নির্যাতনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা চেয়ারম্যানকে ডেকে  বিষয়টি ফয়সালা করার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদারের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে  তিনি তাঁর ফোন রিসিভ করছেন না।