চরফ্যাশনে ৮০ বছরের বৃদ্ধের বিয়ে নিয়ে যতকথা | সংবাদ চিত্র

চরফ্যাশনে ৮০ বছরের বৃদ্ধের বিয়ে নিয়ে যতকথা | সংবাদ চিত্র

এম আবু সিদ্দিক।।

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাপুর দক্ষিণ শিবা গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ আবদুল জলিল ফরাজীর বিয়েতে গ্রামজুড়ে আনন্দ উল্লাস।
প্রায় ১৩ বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন।সন্তানরা যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত বাবার কোন খোঁজখবর রাখেনা।একটি ঘরে একাকিত্বভাবেই চলছিল তার জীবন জীবিকা।মাইসা ব্রিকসে কাজ করে নিজের আয় দিয়ে প্রতিদিন  ঘরে নিজেই রান্নাবান্না করে জীবীকা নির্বাহ করছেন।অসুখ বিসুখের সময়ে সন্তানরা খোঁজখবর নেয়না।চৌচালা চিনের ঘরে একাই বসবাস করেন বৃদ্ধ জলিল ফরাজী। 

জনৈক ঘটকের মধ্যস্থতায়  বুধবার রাতে জাহানপুর ইউনিয়ন তুলাগাছিয়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৪০) কে বিয়ে করেন। রাতভর গ্রামে মাইকে বিয়ের গান বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস চলে গ্রামে।বর-কনেকে একসাথে বসিয়ে গাঁয়ে হলুদ দিয়ে প্রতিবেশীদের মিস্টি বিতরণ করা হয়। নিমন্ত্রণ করা হয় গন্যমান্য এলাকাবাসীদের।

জানা যায়, নববধূ জাহানারার স্বামী অসুস্থ হয়ে ৩ বছর আগে মারা যায়।একটি মেয়ে ছিল সেও অসুখে মারা যায়। অসহায় হয়ে পড়ে জাহানারা। এরই মধ্যে কেটে যায় তিন বছর।
পাড়া- প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে নিয়ে নানান কথাবার্তা 
এরপর মহিলা এক ঘটকের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব আসে আবদুল্লাহপুরের বয়স্ক এক  বৃদ্ধের  সাথে।জীবনের কথা চিন্তা করে বিয়েতে রাজী হয়ে যাই।

আবদুল্লাহপুর গ্রামে এই বিয়েকে ঘিরে গতকাল রাত থেকে গ্রামবাসীর মধ্যে আনন্দ উল্লাসের শেষ নেই। মুহুর্তের মধ্যে আলোচিত এই বিয়ের ভিডিও  এবং যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে।

নয়া বর আবদুল জলিল ফরাজী বলেন, ঘটকের মাধ্যমেই কনে জাহানারা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। উভয়ের সম্মতিতে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়।
নয়া কনে জাহানারা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও  একমাত্র কন্যার মৃত্যুর পর অসহায় হয়ে জীবনসঙ্গী নিতে বাধ্য হয়েছি।